শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
বান্দরবান জেলার প্রথম ধর্মিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চাকঢালা এম এস দাখিল মাদ্রাসা এবারের দাখিল পরিক্ষায় চরম ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। রেকর্ড সংখ্যক শিক্ষার্থীরা অকৃতকার্য হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনাকেও দায়ী করছেন অনেকে। মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, ৫০ জন পরিক্ষার্থীদের মাঝে অকৃতকার্য হয়েছে ২৯ জন এবং পাশ করেছেন মাত্র ২১ জন। পাশের হার ৪০ দশমিক ১৮ শতাংশ প্রায়। মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মাষ্টার জাহাঙ্গীর আলম দাখিল পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয়ে তিনি নিজেই লজ্জিত ও দায়ী বলে বলে জানান। শিক্ষার্থীদের মাদ্রাসায় অনুপস্থিত, ক্লাসে পাঠদানে অংশগ্রহণ না করা ও টেষ্ট পরিক্ষায় ঝড়ে পড়াদের পরিক্ষায় অংশ নিতে দেওয়ার জন্য প্রভাব শালিদের নানা সুপারিশ কে দুষছেন তিনি। মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার পরিক্ষা কেন্দ্রের অনিয়মের কথা আংঙ্গুল তুলে জানান, খাতায় যদি স্যাররা লিখে দিতে পারত ২৯ জন ফেল করত না, আমরা পারিনি খাতায় লিখে দিতে। সচেতন অভিভাবক মনে করেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা, সঠিক পরিচালনা ও শিক্ষকদের জবাবদিহিতা না থাকায় ফলাফল বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ। এই ফল সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকদের অযোগ্যতা প্রমাণ করে। মাদ্রসার সাবেক ছাত্র মুহিবউল্লাহ ভারপ্রাপ্ত সুপারকে উদ্যেশ্য করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন এখান থেকে শ্রদ্ধেয় সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মহোদয়কে একটা শিক্ষা নিতে হবে। লেখাপড়ার মান বৃদ্ধি সহ টেস্ট পরীক্ষায় ফেল শিক্ষার্থীকে কোনভাবেই ফরম ফিলাফ না করার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যেটি যদিও গ্রামাঞ্চলের অভিভাবকদেরকে মানানো অনেকটা চ্যালেন্জ হবে। তারপরেও চেষ্টা করতে পারেন। অনুরোধ ও উপদেশ দেওয়ার যোগ্যতা আমার নাই, তবে প্রাণের প্রতিষ্ঠানের এমন দুর্দশায় ব্যথিত হয়ে আপনাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মতামত জানালাম। সাবেক ছাত্র আ.হ.ম সোহেল ফলাফল বিপর্যয় রোধে মাদ্রাসার শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের প্রতি অভিভাবকদের আরও নজরদারি বৃদ্ধি এবং শ্রেণিকক্ষের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে তাগিদ দেন।
আপনার মতামত দিন