শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন
নতুন বাংলাদেশ ডেস্ক:
তৃণমূলে করোনার টিকা নিশ্চিতে স্বেচ্ছাসেবক লীগকে তৎপর হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহŸান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মানব সেবাই আমাদের আদর্শ, এটাই আমাদের কাজ। মানবতার সেবায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, সেটা অব্যাহত রাখতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, সব সঙ্কটে স্বেচ্ছাসেবক লীগ যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, এটা দৃষ্টান্ত। এটা আরও প্রচার হওয়া উচিত। মনাবতার যে দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছে, সেটা অব্যাহত রাখতে হবে। এটাই আমাদের আদর্শ, এটাই আমাদের কাজ। আমরা চাই, সারাদেশের মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি করে দেয়া। যাতে নিজে বাঁচে, অন্যকেও বাঁচাতে সহযোগিতা করতে পারে। তিনি বলেন, আমাদের দেশে দুই ধরনের রাজনীতি আছে। কেউ রাজনীতি করে নিজের ভোগ বিলাস ও অর্থ কামাই করতে। আর কেউ রাজনীতি করে এর মাধ্যমে মানুষের সেবা করতে। যেটা জাতির পিতা করে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর মানুষ এটা অনুধাবন করে সরকার জনগণের সেবক। আমরা জনগণের কল্যাণে কাজ করছি, করে যাব। এ সময় ডিজিটিল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সজীব ওয়াজেদ জয়ের অবদানের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ। এই ডিজিটাল বাংলাদেশ জয়েরই অবদান। আমি ও আমার বন্ধু কম্পিউটার শিখলাম জয়ের কাছ থেকেই। আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়লাম সেটা জয়েরই চিন্তা। আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই। শেখ হাসিনা বলেন, ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবস উপলক্ষে ইয়াহিয়া খান ঢাকায়। সারা বাংলাদেশে কিন্তু কেউ পাকিস্তানি পতাকা ওড়ায়নি। সমস্ত বাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা ওড়ানো হয়েছিল। ৩২ নম্বর বাড়িতেও আমার বাবা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করলেন; যদিও পাকিস্তানের সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান ঢাকায় ছিল, কিন্তু তাকে সবাই অস্বীকার করেছিল। তিনি বলেন, ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গণহত্যা শুরু করে। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তারপরেই আমাদের বাসাটা আক্রমণ করে এবং তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। এই আক্রমণের কিছু মুহূর্ত পূর্বে আমি, আমার ছোট বোন রেহানা এবং আমার একজন খালাতো বোন ছিল- জেলি তাকে অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দেন। আমার বাবা একরকম জোর করেই আমাদের পাঠিয়ে দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার ভাই কামাল আগেই চলে গিয়েছিল বেরিকেড দিতে। জামাল আর রাসেল মাকে ছেড়ে যাবে না। মার সঙ্গে থেকে যায়। আমাদের বাসা আক্রমণ করে আমার বাবাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। শেখ হাসিনা বলেন, যখন সন্তান প্রসবের সময় হয় তখন আমাকে হাসপাতালে যেতে দিয়েছিল পাকিস্তানি মিলিটারি। কিন্তু আমার মাকে যেতে দেয়নি। আসলে জয়ের জন্মটা মেডিকেল কলেজেই হয়। স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তৃতা করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
আপনার মতামত দিন