সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৫২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন। আর এ ১০ প্রতিষ্ঠানে মোট পাশ করেছে ৬০৮ জন শিক্ষার্থী। স্কুল অংশের ৬ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে জিপিএ-৪ পেয়েছে-১৫ জন। এখানে পাশের হার ৬৭.৭০ শতাংশ। যা নিয়ে অভিভাবক মহলে অসন্তোষ দেখা দেয়। শুক্রবার প্রকাশিত নাইক্ষ্যংছড়ির ১০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফলাফল পর্যালোচনায় এ তথ্য বেরিয়ে আসে। সংশ্লিষ্ট সূত্র গুলো জানান, ৪ কেন্দ্রে অংশ নেয় উপজেলার ১০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কেন্দ্রগুলো হলো, নাইক্ষ্যংছড়ি ছালেহ আহমদ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশারী স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্র, নাইক্ষ্যংছড়ি মদিনাতুল উলুম মডেল ইনস্টিটিউট মাদরাসা ও ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র। এ কেন্দ্রগুলোতে উপজেলার ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৮৯৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তন্মধ্যে স্কুল অংশে ৭১৯ জনে পাশ করেছে ৫০১জন আর মাদরাসা অংশে ১৭৯ জনে পাশ করেছে ১০৭ জন। স্কুলের পাশের হার ৬৫.৭৩ আর মাদরাসা কেন্দ্রে পাশের হার ৫৯.৭৭ শতাংশ। উভয় অংশের পাশের হার ৬৭.৭০ শতাংশ। এসব প্রতিষ্ঠানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন। প্রতিষ্ঠান গুলো হলো, নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশারী উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের-২ জন, নাইক্ষ্যংছড়ি মদিনাতুল উলুম মডেল ইনস্টিটিউট মাদরাসার-১ জন ও নাইক্ষ্যংছড়ি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের-১ জন। একাধিক অভিভাবক এ প্রতিবেদককে জানান, এবারের পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে উপজেলায়। প্রকাশিত ফলাফল পর্যালোচনায় জানা গেছে, চাকঢালার ২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মহিউচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদরাসা ৬০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে মাত্র-২১ জন। চাকঢালা হাই স্কুলে ৬৫ জনে পাশ করেছে ২৮ জন শিক্ষার্থী। আর ঘুমধুমে ১৪৯ জনে ৯৫ জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (অ.দ) সোহেল মিয়া বলেন, ফলাফল উন্নতিতে পাহাড়ি ও পিছিয়ে পড়া অত্র এলাকার জনশক্তিকে আরো সচেতন করতে অভিভাবক সমাবেশ করাসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে আরো সজাগ করে এসব বিপর্যয় রোধ করতে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন তিনিসহ কতৃপক্ষ। এছাড়া আরো বেশ কর্মসূচি নিয়ে সামনের দিন গুলোর ফলাফল ভালো করতে যা যা করা দরকার, তার সবটুকু করতে উদ্যোগ নেবেন তিনি। নচেৎ বারবার এ হিসেব গুনতে হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে।
আপনার মতামত দিন