সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার\
পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন,শুধু গাছ লাগালে চলবে না, গাছের সঠিক পরিচর্যা করতে হবে। ইচ্ছামতো বন নিধন করা যাবে না। গাছ না থাকলে অক্সিজেন তৈরি হবে না। আর অক্সিজেন না থাকলে মানুষ বাঁচবে না। তাই গাছের মতো উপকারী বন্ধু আর কেউ নেই। তিনি আরো বলেন, প্রকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন অন্যতম দায়ী। তাই নিজেদের জন্য যেখানে খালি জায়গা পাওয়া যাবে সেখানে গাছ লাগাতে হবে। পাহাড়ে ঘন ঘন পাহাড় ধসে মানুষের জানমালের ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে। ঘরবাড়ীসহ ভিটেমাটি হারাচ্ছে মানুষ। পাহাড় ধসের একমাত্র কারণ হচ্ছে পাহাড়ে গাছ না থাকা। যে সব পাহাড়ে গাছপালা নেই সেসব পাহাড় ধস নেমেছে। তাই পাহাড় ধস থেকে নিজেদের রক্ষার জন্য বাড়ীর আশে পাশে প্রচুর পরিমানে গাছ লাগাতে হবে। পর্যটন শহরের সড়কের সৌন্দর্য্য বর্ধনসহ ছায়া যুক্ত সড়ক এবং সড়কের স্থায়ীত্ব রক্ষায় বৃক্ষ রোপণ করা খুবই প্রয়োজন মনে করেন পার্বত্যমন্ত্রী। বুধবার বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্র প্রান্তিক লেকে বান্দরবান জেলা প্রশাসন এর আয়োজনে এই মিশ্র ফলবাগান কর্মসূচির উদ্বোধন কালে পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এসময় জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, পুলিশ সুপার জেরিন আখতার,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো.লুৎফুর রহমান,জেলা,কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ড.একে এম নাজমুল হক,বিভাগীয় বন সংরক্ষক মোঃ ফরিদ মিয়া সহ প্রশাসন,অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া আক্তার সুইটি বন বিভাগ ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পার্বত্যমন্ত্রী আরো বলেন, যারা জনপ্রতিনিধি আছেন তাদের বৃক্ষরোপনে এগিয়ে আসতে হবে।প্রকৃতি বাঁচাতে হলে বৃক্ষরোপন কর্মসুচী মানুষের মধ্যে জাগিয়ে তুলতে হবে। এজন্য জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রকৃতি সুরক্ষা না পেলে আমার জীবনও সুরক্ষিত হবে না।তাই সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সচেতনতা বাড়াতেও কাজ করতে হবে এবং বৃক্ষরোপনে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
এদিকে জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, মিশ্র ফলবাগানে আম, লেবু, আনার, পেয়ারা, লিচু, কদবেল, জাম্বুরা, লটকন, মালটা, জলপাই, জাম, মিষ্টি তেতুল,ব্যাক বেরি ও রাম্বুটানসহ প্রায় ৩শ ফলবৃক্ষ রোপন করা হবে। বান্দরবান কেরানীহাট-চিম্বুক মহাসড়কের পাশে ২৭হাজার কৃষ্ণচূড়া,রাঁধাচূড়া,শিমুল,পলাশসহ বিভিন্ন প্রজাতির শোভাবর্ধনকারী বৃক্ষরোপন করার কাজ চলমান রয়েছে। বান্দরবানের সকল উপজেলা,গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা,পর্যটনকেন্দ্রে বৃক্ষরোপন করার মাধ্যমে ১লক্ষ বৃক্ষরোপন করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে জেলা প্রশাসনের মথ্যমতে।
উল্লেখ্য ২০০১ সালে প্রায় ২৯ একর এলাকাজুড়ে কৃত্রিম লেক বান্দরবানের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র প্রান্তিক লেক পর্যটন কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়। এখানে পর্যটন মৌসুমে এই লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত পর্যটক ভিড় জমায়।
আপনার মতামত দিন