স্টাফ রিপোর্টার:
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় এক সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে আপুইমং মারমা (৬৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার বিকালে স্থানীয়রা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটকের পর গণধোলাই দিয়ে রোয়াংছড়ি থানায় সোপর্দ করে। পরে রাতে তাকে রোয়াংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীকে বৃহস্পতিবার দুপুরে বান্দরবান সদর হাসপাতালে পরীক্ষা করে আদালতে হাজির করা হয়।
এদিকে স্থানীয়রা জানান,ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী গত এক সপ্তাহ আগে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করলে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়। ঐ কিশোরীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী স্থানীয়রা অভিযুক্ত সৎ পিতা আপুইমং মারমা (৬৫) কে আটক করে পুলিশে দেয়। স্থানীয়রা আরো জানায়, কিশোরীটির প্রথম বাবা মারা যাওয়ার পর উপজেলার ওয়াগ্যই পাড়ার জুমচাষী আপুইমং মারমা তার মাকে বিয়ে করে। সৎ মেয়েকে নিয়ে ওই এলাকায় একটি খামার বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন আপুই মং। খামার বাড়িতে কেউ না থাকা অবস্থায় ১৫ বছর বয়সের ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে তার সৎ বাবা। এদিকে গত ২ জুলাই কিশোরীটি এক কন্যা সন্তান প্রসব করলে এলাকায় ঘটনাটি জানাজানি হয়,পরে স্থানীয়রা ওই মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তার সৎ বাবা তাকে ধর্ষণ করে বলে জানায়। পরে স্থানীয়রা অভিযুক্ত আপুই মং মারমাকে গনধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তৌহিদ কবির জানান, সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে আপুইমং মারমা (৬৫) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের বান্দরবান আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, এই বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।