শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
আমিনুল ইসলাম বাচ্চু ॥
জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেছেন,পাহাড়ের পাদদেশে গৃহনির্মাণ থেকে বিরত থাকুন। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীগণ যেমন মৃত্যুঝুঁকিতে থাকেন, তেমনি তাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশাসনকে আতঙ্কে থাকতে হয়।পাহাড়ের পাদদেশে বসতি স্থাপনকারীদের,তাদের পছন্দের জায়গায় পুনর্বাসনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে তালিকা করার জন্য নির্দেশনা রয়েছে। তিনি বলেন, পাহাড় কাটা এবং গাছ কাটা থেকে আমাদের অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।আজ (বৃহস্পতিবার) জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান উপলক্ষে বনজ,ভেষজ ফলদ মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবজীরি এ কথা বলেন।বান্দরবান বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হক মাহবুব মোরশেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুরাইয়া আক্তার সুইটি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: নাজিম উদ্দিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ পরিচালক মো: রফিকুল ইসলাম ও পাল্পউড বাগান বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: মাহমুদুল হাসান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে জেলা প্রশাসক আরো বলেন,উপজেলা,জেলা এবং জাতীয়ভাবে মানুষ যাতে পরিবেশ সংরক্ষণে অধিক আগ্রহী হয় এজন্য প্রতিবছর বৃক্ষরোপণ অভিযান পালিত হয়ে আসছে।কোন জমি পতিত রাখা যাবে না। খালি জায়গায় অন্তত একটি মরিচের চারা হলেও রোপণ করতে হবে। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ বনায়নের পরিমাণ ১১ ভাগে নেমে এসেছিল। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বর্তমানে দেশে বনভূমির পরিমাণ ২৩ ভাগে উন্নীত হয়েছে। অচিরেই আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২৫ ভাগে পৌঁছে যাব। জেলা প্রশাসক বলেন, সারা দেশের তুলনায় বান্দরবানের ৭৩ শতাংশ জায়গা বনভূমিতে আচ্ছাদিত আছে। জেলা প্রশাসক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলা করতে হলে বৃক্ষরোপণের কোন বিকল্প নেই। অধিক বৃক্ষ নিধনের ফলে বর্ষাকালে ভূমিধসের আশঙ্কা থাকে। এছাড়া পাহাড়ের মাটি নদীতে গিয়ে নদীর তলদেশ ভরাট করছে। নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় অল্প বৃষ্টিতেই শহরের জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে।সভায় বৃক্ষমেলায় স্টল স্থাপনকারীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। এর আগে জেলা প্রশাসক বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে উদ্ধারকৃত ৮টি টিয়া পাখি অবমুক্ত করেন।
আপনার মতামত দিন