সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৪৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার\
জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেছেন, বড়শি পাড়াটি রুমা সদর ইউনিয়নের অত্যন্ত দূর্গম এলাকায় অবস্থিত। এ এলাকার সকল পরিবারই অত্যন্ত হতদরিদ্র। তাদের বসতঘরগুলিও জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ঠিক করার মতো কোন অর্থ তাদের নেই। বিষয়টি জানতে পেরে পাড়াটি পরিদর্শন করি এবং এক পাড়ার সবাইকেই প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ১৭টি পরিবারকে ঘর নিমার্ণ করে দেওয়া হলো। ঘর পেয়ে পাড়ার সকলেই খুশি হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসক আরো বলেন, দূর্গম রুমা উপজেলার বড়শি পাড়াকে একটি আদর্শ গ্রামে রুপান্তরিত করতে বিভিন্ন ধরণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বৃহষ্পতিবার নির্মাণাধীন ঘর পরিদর্শন কালে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক বলেন, এই বড়শি পাড়াকে একটি আদর্শ পাড়া হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এখানে যে খোলা জায়গাগুলো রয়েছে সেখানে একটা বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই বিনোদন কেন্দ্রীটি নির্মাণ করা হলে ছোট ছোট শিশুরা খেলাধুলা করতে পারবে এবং এলাকাবাসীর মাঝে মিলন-মেলায় পরিনত হবে। জেলা প্রশাসক আরো বলেন, বিদ্যুৎ ও জনস্বাস্থ্য বিভাগের সাথে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে যেই ১৭টি পরিবার রয়েছে তাদের পানির ব্যবস্থার জন্য জনস্বাস্থ্য বিভাগকে নিদের্শ দেওয়া হয়েছে এবং তারা বরাদ্দ পেলে পানির ব্যবস্থা করে দিবেন। আর বিদ্যুৎ মেইন সংযোগ না থাকায় তাদেরকে সোলারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে এবং বড়শি পাড়াকে আলোকিত করা হবে।
এদিকে পরিদশর্ন কালে রুমা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উহ্লাচিং মারমা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইয়ামিন হোসেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কায়েসুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আলী নুর, রুমা ২নং সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শৈমং মারমাসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রুমায় প্রথম পর্যায়ের ৭০টি প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণের পর হস্থান্তর করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ২২০ টির মধ্যে ৮৫ টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
আপনার মতামত দিন