সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:১৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার\
কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে বান্দরবানে মাঠে সেনা, র্যাব, বিজিবি ও পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কঠোর অবস্থানে থাকলেও অন্যান্যদিনে চেয়ে সাধারণ মানুষের চলাচল বেড়েগেছে। সড়কে দুরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ থাকলে জেলা শহরের অটরিক্সা, মোটরসাইকেল চলাচল আগের তুলনায় বেড়েগেছে। লকডাউনে বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে ‘অতি জরুরি কাজের’ অজুহাত দিচ্ছেন বেশিরভাগ মানুষ। অনেকে ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। বেড়েছে রিক্সায় সাধারণ মানুষের চলাচলও। মূল সড়কগুলো লকডাউনের কার্যক্রম দেখা গেলেও বিভিন্ন এলাকার পাড়া মহল্লার অলিগলি ঘুরে লকডাউনের কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি। অনেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার অজুহাতে ঘর থেকে বের হয়ে আড্ডা দিতে দেখা গেছে। পাড়া-মহল্লায় চায়ের দোকান থেকে শুরু করে প্রায় সব দোকানপাট খোলা দেখা গেছে। চলাচলরত মানুষদের বেশিরভাগের মুখে মাস্কও দেখা যায়নি। রবিবার বান্দরবান সাপ্তাহিক বাজার বার হওয়াতে অন্যান্যদিনে চেয়ে সাধারণ মানুষের আনাগোনা বেশি দেখা গেছে। জেলা শহরের কাঁচাবাজার,মাছ বাজার এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান গুলোতে গাদাগাদি করে চলছে বেছাকেনা। কেউ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্ব। রবিবার সকালে জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে এসব চিত্র।
এদিকে রবিবার জেলা শহরে রিক্সা, ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী গাড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেলের চলাচলও ছিল অনেকটা অবাধে। কোনো কোনোটিতে চালকসহ আরও আরোহী দেখা গেছে। এসব গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে জরুরি প্রয়োজনীয়তা যাচাইয়ে বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্টগুলোতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেনা, র্যাব, বিজিবি ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে। বাইরে বের হওয়ার কারণ যাচাইয়ের পাশাপাশি করোনাভাইরাস সস্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করছে এবং সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে বিধিনিষেধ না মানলে মামলা ও জরিমানাও আদায় করা হচ্ছে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.কায়েসুর রহমান বলেন, তারা বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। চেকপোস্টের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত, সেনা, র্যাব, বিজিবি ও পুলিশের টহল দায়িত্ব পালন করছে। কেউ অযথা বাইরে বের হলে মামলা বা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরো বলেন,আমরা সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করে যাচ্ছি এবং সাধারণ জনগণ যেন অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে না আসে সেই জন্য শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে আমরা নজরদারি বৃদ্ধি করেছি। বান্দরবানের সাতটি উপজেলায় মাঠে রয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ১৮টি টিম। লকডাউন বাস্তবায়নে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সহায়তা করছে সেনা, র্যাব, বিজিবি,পুলিশও স্কাউটের সদস্যরা।
আপনার মতামত দিন