শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন
আলীকদম ও লামা প্রতিনিধি \
বান্দরবানের লামা ও আলীকদম উপজেলায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ইটভাটায় পৃথক অভিযান পরিচালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযানের শুরুতে ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মামুনুর রশিদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আলীকদম উপজেলার পূর্ব পালং পাড়ার ফাতেমা ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং (এফবিএম) ব্রিকফিল্ডে অভিযান চালান ভ্রাম্যমান আদালত। এফবিএম কর্তৃপক্ষ ব্রিক ফিল্ড চালু রাখতে হাইকোর্টের একটি রীটের ফটোকপি ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে উপস্থাপন করেন। পরে সেখান থেকে ফিরে গিয়ে আমতলী পাড়ায় ইউনিক ব্রিক ম্যানুফেকচারিং (ইউবিএম) নামে ব্রিকফিল্ডে অভিযান চালান ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ ইউবিএম-কে ২ লাখ টাকা জরিমানা ও ইটভাটার ২টি চিমনী ধ্বংস করার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি দিয়ে ইটভাটায় পানি ঢালেন এবং স্কেভেটর দিয়ে দু’টি চিমনী ধ্বংস করেন। এফবিএম এর মালিক শওকত তালুকদার মুঠোফোনে জানান, তাঁর মালিকানাধীন এফবিএম ইটভাটা চালু রাখার বিষয়ে হাইকোর্টের রীটের আলোকে নির্দেশনা আছে। একই বক্তব্য দেন উপজেলার তারাবুনিয়ায় স্থাপিত এবিএম ব্রিক ফিল্ডের ম্যানেজার আব্দুল কাদের।
এদিকে,অভিযান চলাকালে এফবিএম ব্রিকফিল্ডে উপস্থিত হন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল কালাম। তিনি বলেন,সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ইটভাটা চালাচ্ছে ইউবিএম। এই ইটভাটার মালিক আলীকদম উপজেলায় কোন সামাজিক কর্মকাÐে বিন্দু পরিমাণ অবদান রাখেনা। তারপরও তার সম্পর্কীয় সরকার দলের একজন নেতার পরিচয়ে এফবিএম মালিক শওকত তালুকদার বছরের পর বছর ধরে ইউবিএম ইটভাটা চালু রেখেছেন। উল্লখ্য যে,হাইকোর্টের রিট পিটিশন মামলা নম্বর ১২০৪/২০২২ এর আদেশের আলোকে বান্দরবান জেলা প্রশাসন এ অভিযান পরিচালনা করছে। আলীকদমের ৩টি ইটভাটার একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
অপরদিকে লামা উপজেলার ফাইতং ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ১১টি অবৈধ ইটভাটা ধ্বংস করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কায়েসুর রহমান এসব অবৈধ ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় লামার ফাইতং ইউনিয়নে ১১টি ইটভাটার মালিককে ১৪লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও ইটভাটা ধ্বংস করাসহ পরবর্তীতে ইটভাটা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। অভিযান পরিচালনাকালে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোঃ আশফাক, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা সাফায়েত হোসেনসহ পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কায়েসুর রহমান বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারী মাসের ২৫ তারিখে হাইকোর্টের একটি রিট রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে পার্বত্য এলাকায় অবৈধ কোন ইটভাটা চলতে পারবেনা। মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশকে আমরা সম্মান দেখিয়ে অবৈধ ইটভাটাতে অভিযান পরিচালনা করেছি। এসব ইটভাটার কোনটির লাইসেন্স নেই। পাহাড়ের পাদদেশ থেকে মাত্র আধা কিলোমিটারের মধ্যেই বেশির ভাগ ইটভাটাগুলোর অবস্থান। অবৈধভাবে লাইসেন্স বিহীন এসব ইটভাটা ধ্বংসসহ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আপনার মতামত দিন